নিজস্ব প্রতিবেদক:
চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে এবার শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন । দীর্ঘদিন ধরে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে শিল্পীদের ছিল নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। গত দুই মেয়াদে সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি দেড় শতাধিক শিল্পীর ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন বলে শোনা যায়। জায়েদের এ কাজে নাকি সায় ছিল সভাপতি মিশা সওদাগরের।
তাই নির্বাচনের আগে এফডিসিতে আসা অনেক শিল্পীকে বলতে শোনা যায়, তারা এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন কাউকে চান। এরপর থেকে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, এবার সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণ আক্তার জয়ী হবেন। সেই ধারণা আধা সত্যি হয়েছে। সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন জিতলেও জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হেরে গেছেন নিপুণ। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৬৩টি। বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট।
তবে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র পাড়ার সবার প্রশংসায় ভাসছেন নিপুণ। অনেকেই বলছেন, হেরেও জিতে গেছেন এই চিত্রনায়িকা। কারণ, তিনি এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনটা পুরোপুরি জমিয়ে দিয়েছিলেন। ইলিয়াস কাঞ্চনসহ পুরো প্যানেলকে সাজাতে তার অগ্রণী ভূমিকা নজর কেড়েছে সবার। নিপুণের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রশংসা পাচ্ছে শিল্পী সমাজে। আগামীতে তিনি যে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত, এবারের নির্বাচন যেন সেই বার্তাই দিয়ে গেল।
শনিবার ২৯ জানুয়ারি ভোর পৌনে ৬টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন ফল ঘোষণা করেন।